খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি হরিণটানা থানার ওসি এমদাদুল হক নিশ্চিত করেছে। প্রাথমিক ভাবে ধরানা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম কাজল মন্ডল । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই হলরোডের এক মেসে।তার বাড়ি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায়।
এ ঘটনায় কাজলের নিকট বন্ধুরা ধারনা করছেন যে, এক তরুনীর সাথে প্রেম ঘটিত বিষয়ে পরিবারের সাথে বেশ কয়দিন যাবৎ কাজলের মনমালিন্য চলছিলো। এরই জের ধরে আজ আত্নহত্যা করতে পারে বলে মনে করেন তারা।
তার বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানা যায় আজকে পরিক্ষা থাকা সত্যেও পরিক্ষা দিতে যায়নি তাই পরিক্ষা শেষে তার খোজ নিতে আসলে দরজা ভেতর থেকে লক করা পায়। বার বার নক করে কোনো আওয়াজ না মিললে বেলা ১.১০ এর দিলে দরজার ফুটো দিয়ে ঝুলোন্ত লাশ দেখা যায়।
তার পাশের রুমে তারই বন্ধু আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকে আমাদের এগ্রিকালচার ইকোনমিকস পরিক্ষা ছিলো। পরিক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বেশ কয়েক বার ডাকার পরও কোনো সাড়া শব্দ পাইনি।এক্সামের সময় হওয়ায় আমি এক্সাম দিতে হলে যাই।
এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মোঃ শরিফ হাসান লিমন বলেন, এরকম ঘটনা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক আমি এবিষয়ে খুবই মর্মাহত এছাড়াও তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে হরিণটানা থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ কি সেটা জানা যায়নি।
তবে গত কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর আত্নহত্যার নিউজে (যমুনা টিভি) তার একটি মন্তব্য পাওয়া যায়, যেটি ছিলো , “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বাজেট পাশ না করলেও আমাদের বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। দুই বেলা খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা থাকলে হয়তো বা আমাদের এতো ভেঙ্গে পরা লাগে না।”
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।